নিষিদ্ধ করা হোক পরিবারের অজুহাত দিয়ে একটি সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটানো। [আত্মকথা- ১১]
সেদিন হঠাৎই তোমার সাথে দেখা। আমাদের সম্পর্কের ইতি টানা হয়ে গেছে তখন প্রায় ৪ বছর। এই ৪ বছরে আমাদের মাঝে কোনো যোগাযোগ ছিল না। আমি এখন নেভিতে ভালো একটি পোস্ট এ আছি। হয়তো তোমার ফ্যামিলিতে প্রপোজাল দেওয়ার মতো যোগ্যতা আমার আছে এখন।
কথায় বলেনা, বেকার ছেলেটাও একদিন চাকরি পেয়ে যাবে কিন্তু ফিরে পাবে না চাকরির অভাবে হারিয়ে ফেলা তার বেলা কে! আমিও সেদিন তোমাকে হারিয়েছিলাম এইভাবে। পুরাতন কথা মনে করে আর মনটাকে ভারী করতে চাচ্ছিনা।
তো সেদিন তোমাকে দেখার পর আবারও সেই প্রথম দিনের মতো চোখটা আটকে গেছিলো তোমাতে। হাজার চেষ্টা করেও নিজেকে তোমার চোখের আড়াল করতে পারিনি। সেই তুমি আমাকে দেখেই ফেললে। তার পর তোমার সে টোল পরা গালে একটা হাসি দিয়ে আমার দিকে এলে। আর তোমার সাথে হেঁটে আসছিলো তোমার পিচ্চি। বেশ দেখতে হয়েছে।
তুমি এসে জিজ্ঞেস করলে, কেমন আছো?
আমি বললাম, এইতো যেমনটা দেখছ!
তারপর তুমি বললে, ঘুরিয়ে কথা বলার অভ্যাসটা আজও রয়ে গেছে!
আমি মুচকি হেসে বললাম, আমার ভুল সংশোধন করা মানুষটা যে আজ অন্যের মন ভালো করতে ব্যস্ত।
তুমি আর কথা বাড়ালে না। আমি হাটুগেড়ে তোমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে এক গাল হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "মামনি, তোমার নাম কি?"
উত্তরটা শোনে আমি খানিকক্ষণ চুপ করে রইলাম। তার নাম রেখেছিলে তুমি 'নির্ঝরা'। নামটা ধরে অসংখ্য বার ডেকে ছিলাম প্রিয় মানুষটাকে। তখনই তোমার বাচ্চার বাবা এসে ডাক দিলো।
তুমি চলে গেলে আর বলে গেলে সেই বিষ মাখানো কথাটি "ভালো থেকো।"
আমিও মুখ ফিরিয়ে চলে এসেছিলাম। বিশ্বাস করো আমি ওই দিনও তোমার চোখে আমার জন্য ভালোবাসাটা দেখতে পেয়েছিলাম। নিষিদ্ধ করা হোক পরিবারের অজুহাত দিয়ে একটি সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটানো। বেঁচে থাক ভালোবাসা।