
বিজ্ঞানের কিছু মজার তথ্য!
বিজ্ঞান কেবল শুষ্ক তথ্য ও জটিল সূত্রের সমাহার নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অজানা রহস্য ও আশ্চর্যের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বিজ্ঞানের জগতের কিছু মজার তথ্য, যা আপনাকে অবাক করবে ও আপনার জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
মানুষঃ
- আমাদের শরীরে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে, যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি!
- প্রতি সেকেন্ডে আমাদের শরীরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন নতুন রক্তকণিকা তৈরি হয় এবং পুরনো রক্তকণিকা ধ্বংস হয়।
- একজন মানুষের মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে ১০ কোয়াড্রিলিয়ন গণনা করতে পারে, যা কোন কম্পিউটারের চেয়েও বেশি!
- যখন আমরা কিছু স্পর্শ করি, তখন তথ্য ঘণ্টায় ১২৪ মাইল বেগে মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
- আমরা যখন হাসি, তখন আমাদের মুখের ২০ টি পেশী ব্যবহার করি। কিন্তু যখন কান্না করি, তখন আমাদের মুখের ৪৩ টি পেশী ব্যবহার করি!
- চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব।
- প্রতি সেকেন্ডে আমাদের শরীরে প্রায় ৬০,০০০ টি নতুন কোষ তৈরি হয়।
- আমাদের জিহ্বায় প্রায় ১০,০০০ টি স্বাদ গ্রহী রয়েছে।
- মানবদেহে সবচেয়ে দীর্ঘকালীন কোষ হলো মস্তিষ্কের নিউরন, যা আমাদের জন্মের সময় তৈরি হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টিকে থাকে।
- ঘরের বেশিরভাগ ধুলাবালিই আমাদের দেহের মৃত চামড়া।
পৃথিবীঃ
- পৃথিবী মহাকাশে ঘণ্টায় ১৭,০০০ মাইল বেগে ঘুরছে।
- পৃথিবীর ভূত্বক শুধুমাত্র একটি আপেলের খোসার মতো পাতলা।
- পৃথিবীতে এতটাই পানি আছে যে, যদি সমস্ত পানি সমানভাবে বিতরণ করা হয়, তাহলে পৃথিবীর পুরো পৃষ্ঠ ১০ মাইল গভীরতার একটি মহাসাগর দ্বারা ঢাকা পড়বে।
- পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর স্থান হলো মারিয়ানা ট্রেঞ্চ, যা প্রায় ৭ মাইল গভীর।
- পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতমালা হল হিমালয়, যার শীর্ষ মাউন্ট এভারেস্ট ১০.৫ মাইল উঁচু।
- পৃথিবীতে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি ভূমিকম্প হয়। কিন্তু এর বেশিরভাগই আমরা টের পাই না। তবে রিখটার স্কেলে তা ঠিকই ধরা পড়ে।
- পৃথিবী মহাবিশ্বের একমাত্র গ্রহ যেখানে জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
প্রাণীঃ
- জিরাফ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা প্রাণী, যার ঘাড় ১৮ ফুট লম্বা হতে পারে।
- বিশ্বের দ্রুততম প্রাণী হল চিতাবাঘ, যা ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।
- বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পাখি হল হামিংবার্ড, যার দৈর্ঘ্য মাত্র ২ ইঞ্চি এবং ওজন ০.২ গ্রাম।
- বিশ্বের বৃহত্তম প্রাণী হল নীল তিমি, যার দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং ওজন ২০০ টন হতে পারে।
- পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম প্রাণী হলো টার্ডিগ্রেড, যা মাত্র ০.০৫ মিমি দৈর্ঘ্যের।
- জিরাফের জিহ্বা ১৮ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে এবং এটি দিয়ে পাতা ছিঁড়ে খেতে পারে।
- কিছু প্রজাতির শামুক ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।
- তেলাপোকা দৌড়াতে পারে তাদের পায়ের তলার অংশে অবস্থিত ছোট ছোট লোমের সাহায্যে।
- শামুক পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রাণী, কিছু ব্যক্তি ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকে।
- খরগোশ ও তোতাপাখিকে কখনো পেছন ফিরে তাকানোর দরকার হয় না। তারা মাথা সোজা রেখেও পেছনের দৃশ্য দেখতে পায়।
- প্রজাপতি কোনো খাবারের উপর বসলেই ওই খাবারটির স্বাদ অনুভব করতে পারে। কারণ প্রজাপতির ‘টেস্ট রিসেপ্টর’ থাকে এর পায়ের তালুতে। আর মানুষের ‘টেস্ট রিসেপ্টর’ থাকে জিহ্বায়।
- স্টেগাসোরাস ডায়নোসোরদের দৈর্ঘ্য ৯ মিটার পর্যন্ত হয়, কিন্তু এদের মস্তিষ্ক একটা আখরোটের সমান।
- ক্যাংগারু এবং ইমু পিছন দিকে যেতে পারে না। পায়ের বিচিত্র গঠনের কারণে পিছন দিকে হাঁটা তাদের জন্য ঝামেলার।
- বেঢপ আকৃতির জলহস্তীকে দেখলে বোঝা যায় না আসলে এরা মানুষের চেয়েও জোরে দৌড়াতে পারে।
মহাবিশ্বঃ
- মহাবিশ্বে প্রায় ১০০-৪০০ বিলিয়ন ছায়াপথ রয়েছে।
- মহাবিশ্বের বয়স প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর।
- মহাবিশ্বের ৯৫% অংশই আমাদের অজানা, যাকে বলা হয় "ডার্ক ম্যাটার" এবং "ডার্ক এনার্জি"।
- আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র হলো প্রক্সিমা সেন্টুরি, যা পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
- আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ হল নেপচুন, যা সূর্য থেকে ২.৮ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত।
- মহাবিশ্বের প্রায় ৭০% অন্ধকার শক্তি এবং অন্ধকার পদার্থ দ্বারা তৈরি, যা আমরা দেখতে বা স্পর্শ করতে পারি না।
- মহাবিশ্বের প্রায় ৫% নক্ষত্র এবং গ্রহ দ্বারা তৈরি।
- মহাশূন্যে গেলে মানুষ কিছুটা লম্বা হয়। সেখানে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় মেরুদণ্ডের উপর কোনো চাপ থাকে না। ফলে মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কিছুটা বাড়ে।
অন্যান্যঃ
- একটা অ্যানালগ ঘড়ি যদি নষ্টও হয়ে থাকে তা দিনে দু’বার সঠিক সময় দেখাবে।