বর্তমানে ডিভোর্স কেন বেড়ে যাচ্ছে?
দুই মেয়েকে নিয়ে ইংল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন জর্ডানের সাবেক বাদশাহ হুসাইন বিন তালালের মেয়ে প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেন। আরও স্পষ্ট করে বললে তিনি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী। ঘটনাটা ২০১৯ সালের। বিখ্যাত ধনকুবেরদের বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডি ফ্যাক্টো রাজধানী হিসাবে পরিচিত লন্ডন সাক্ষী হয় ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এক বিবাহ বিচ্ছেদের। বিচ্ছেদের জন্য প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেনকে সব মিলিয়ে ৫৫ কোটি পাউন্ড বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার ২১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় ৭২ বছর বয়সী রশিদ আল মাকতুম কে।
বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরেও বিবাদ চলমান ছিল দুপক্ষ থেকেই। প্রিন্সেস হায়ার অভিযোগ ছিল, দুবাইয়ের শাসক তাকে ও তার সন্তানদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে প্রিন্সেস হায়ার আরও অভিযোগ ছিল, প্রিন্সেস হায়ার দেহরক্ষীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই সন্দেহে শেখ মহম্মদ ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে প্রিন্সেস হায়া তার দেহরক্ষী ও আইনজীবীদের ফোন হ্যাক করেছিলেন। প্রথমে সন্দেহ, তারপর নজরদারি, এরপর কথা কাটাকাটি এবং শেষমেশ হুমকি ধামকি। অস্বাভাবিক কিছু না হলে একটি সম্পর্কের নিষ্পত্তি হয় বিচ্ছেদে। রাজা রাজরাদের বিয়েতে যেমন থাকে এলাহি আয়োজন বিচ্ছেদেও তা আকাশচম্বি।
যাই হোক প্রিন্সেস হায়া চলে গেলেও দুবাইয়ের শাসকের ঘরে বউয়ের অভাব ছিল না। কিন্তু দিন আনতে পান্তা খাওয়া মনে মনে বাদশাহ ভাবা ঢাকা শহরের একজন যুবক যিনি অতিকষ্টে জীবনে নানা সঙ্কট মিটিয়ে মাত্র একটি বিয়ে করতে পারেন। সেই আরাধ্য বিয়েটাও কেন টিকে না সেটাই প্রশ্ন! ভাববার বিষয় তো বটেই। অতি দ্রুত গবেষণা করে সমাধান না পৌঁছলে আপনার ঘরে আজ যে বউকে দেখছেন কাল সে আপনার ঘরের নাও থাকতে পারে।
ধর্ম ও সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিয়ে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। বার্ট্রান্ড রাসেল এর মতে, "বিপরীত লিঙ্গের একজন মানুষের সঙ্গ লাভের জন্য, বিবাহের চেয়ে ভালো আর কোনও পথ নেই"। অনেক সমাজতাত্ত্বিক এই প্রথার বিরোধিতা করলেও নারী ও পুরুষের সুস্থ সম্পর্কের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায় বিয়ে। তবে এই বিয়ে নিয়ে আমাদের দেশে এক ধরনের গোঁয়ার্তুমি আছে। আধুনিক সময়ে এসেও যার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
ব্লগটি পড়তে গিয়ে লজ্জায় লাল হবেন না দয়া করে। বিয়ের আগেই বিয়ে সম্পর্কে এই বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরি। চোখ বন্ধ করে বলুন তো বিয়ের জন্য আপনার কেমন পাত্র বা পাত্রী পছন্দ? শুধু দেখতে সুন্দর হলেই চলবে? নাকি ভালো চাকরিও করতে হবে তাকে? না বাইরে এত চাকচিক্য না হলেও চলবে, ভিতরের মনটা সুন্দর হোক এটাই আপনার একমাত্র যাওয়া। তাই না?
৯০ এর দশকে বা এর আগে জন্ম যাদের, তারা হয়তো দেখেছেন। সে সময় বর এবং কনের প্রথম দেখা হত বিবাহের মঞ্চে। সম্পূর্ণ একটা জীবন কাটিয়ে দেবে যারা, তারা কেউ কাউকে চেনে না, দেখেওনি কোনোদিন। আজকের দিনে এটা ভাবা কঠিনই না শুধু, একপ্রকার অসম্ভবও। বেশির ভাগ মানুষ এখন নিজের জীবনসঙ্গীকে নিজেই নির্বাচন করেন। আর পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও বিয়ের আগেই চলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া। কিন্তু দীর্ঘদিনের চেনা প্রিয় মানুষকে বিয়ে তো করাই যায়। কিন্তু তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যেতে থাকে সমস্ত ভালোলাগা, ভালোবাসা। অনেকের কাছে একটা সময় পর একসাথে থাকাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যাকে ভালই লাগে না তার সাথে এক ছাদের নীচে থাকার ইচ্ছেটাও মরে যেতে থাকে। নিতে হয় জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ডিভোর্স।
কিছুদিন আগে প্রিয় সঙ্গীকে ছেড়ে দিতে হয় সব বন্ধন থেকে। দেয়ালে টানানো রঙিন ফোটো অ্যালবামটা সাদাকালো স্মৃতির অন্ধকারে হারিয়ে যায় চিরতরে। এমন ধূসর এক একটা গল্পই শহরে তৈরি হয় প্রতি ৪০ মিনিটে। দিনে ৩৬ টি, সপ্তাহে ২৫২ টি, আর মাসে ৭৫০৭ টি ঘর অদ্ভুত এই শহরে ভেঙে যায় আমাদের সকলের অগোচরে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বলছে বাংলাদেশের ডিভোর্সের সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। গোটা বিশ্বেই ডিভোর্সের সংখ্যা যেন হু হু করে বাড়ছে। আমরা এখন এমন এক সমাজ এসে পৌঁছেছি যেখানে ডিভোর্স ব্যাপারটা আমরা মিউচুয়াল ভাবে হ্যান্ডেল করি।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফি বা মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও মেলিন্ডা - এটা যেন রীতিমত ডিভোর্সের রোল মডেল হিসেবে আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে। তাদের নিখাদ ভালোবাসা নিয়ে কিছুদিন আগেও যেখানে সরব ছিল গণমাধ্যম, এখন সেখানেই চলছে তাদের ডিভোর্সের কারণ খোঁজার তোড়জোড়। তবে ডিভোর্সের শুধু সমাজের উঁচুশ্রেণীর বা সেলেব্রিটিদের মধ্যেই হয় এমন নয়। আর ভাবনার বিষয় এখানেই! সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংখ্যাটা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের জীবনের মূল সংগ্রামটাই ঘর বাঁধা। ঘর বাঁধার ইচ্ছে নিয়েই স্বপ্নবাজি মানুষগুলো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
কিন্তু কেন এই ঘরে নেমে আসছে ভাঙনের ছায়া?
অনেক সংকট বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ভালোবাসাকে অবলম্বন করে অনুযোগের একটা দীর্ঘ জীবন কাটিয়ে দিতে অভ্যস্ত যে নিম্ন মধ্যবিত্ত তাদেরকেও কেন ডিভোর্সের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ডিভোর্সের প্রসঙ্গ আসলে আধুনিক সময়ে সে একটা শব্দ মাথায় চলে আসে সেটা হল স্বনির্ভরশীলতা। তবে এই একটি কারণ ডিভোর্সের জন্য যথেষ্ট নয়। মোটা দাগে এটা হয়তো একটা কারণ হতে পারে। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেখা গেছে, নারীরা সাধারণত চারটি কারণে ডিভোর্স দেয়। এর মধ্যে অন্যতম যৌতুক। শারীরিক ও মানসিক কারণে তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। আরও একটি কারণে ডিভোর্সের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সেটি হল গোপন সম্পর্ক। এছাড়া সমাজে প্রচলিত আরও কিছু কারণ হল সন্তান জন্ম দিতে না পারা, একে অপরকে সময় না দেওয়া, স্বাধীন চলাফেরায় বাধা দেওয়া এবং সন্দেহপ্রবণতা।
তবে ডিভোর্সের জন্য আমাদের সমাজ এখনও একক ভাবে নারীকেই দায়ী করতে চাই। আধুনিক শিক্ষা নারীকে স্বামীর অবাধ্য করছে বলে এক ধরনের আলাপ আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে আগে থেকেই। কিন্তু আসল সত্যটা হচ্ছে নারী শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বামী বাইরে কী করল স্ত্রী সেটা দেখার দরকার নেই - এমন ধারণা থেকে বের হয়ে এসেছে নারীরা। কিন্তু সময়ের সাথে নারীর এই যৌক্তিক অগ্রগতিকে ধারণ করতে পারছে না পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। যে কারণে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে বিচ্ছেদের ঘটনা।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার একটা লাইন হলো,
তোমাকে তোমার মতো করে কখনও ভাবেনি!
সম্ভবত বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আমরা বেশিরভাগ সময়েই আমাদের সঙ্গীকে নিজের মতো করে বিচার করতে চায়। তার প্রেক্ষাপটে তাকে ভিন্নভাবে দেখার অভ্যাস আমাদের নেই। সমস্যাটা আসলে তখনই তৈরি হয়। আমার সঙ্গীর জন্ম বেড়ে ওঠা প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক শিক্ষা তার মূল্যবোধ আমার চেয়ে আলাদা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু এই জিনিসটা আমরা সহজ ভাবে বুঝতে চাই না। আমরা চাই আমার সঙ্গী আমার মতো হোক। এই সমাধান অযোগ্য চাওয়া থেকেই সম্পর্কের সূত্রগুলো বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। জন্ম নেয় বিশ্বাসহীনতা। আর একে অপরের প্রতি বিশ্বাসহীনতার কারণেই বেশিরভাগ বিয়ে ভেঙে যায়।
দীর্ঘদিনের প্রেমের পর বিয়ে। কিন্তু দেখা যায় বিয়ের আগের মানুষের পরে মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা। বিয়ের পর শুরু হয় একে অন্যকে নিয়ে সন্দেহ। সংসারে দুজনই এখন কাজ করতে বাইরে যাচ্ছেন। তাদের পরিচিত মানুষ, বন্ধু, কলিগ এর সাথে কথা বলছেন। বাড়ি ফিরে দেখা যায় তাদের সাথে বিভিন্ন কারণে কথা হচ্ছে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এই কথা বলা তো এখন আরও সহজ হয়েছে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাপড়ার অভাবে তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া নিয়ে সন্দেহের জন্ম হচ্ছে। আস্তে আস্তে সেটা বিশ্বাসহীনতার দিকে যাচ্ছে। আর বিশ্বাস না থাকলে কোনও সম্পর্কই টিকিয়ে রাখা সম্ভব না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমাদের জীবন যেমন সহজ হয়েছে, তেমনই কখনও কখনও কঠিন হচ্ছে। চাইলে যে কোনো সময় যে কারও সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। একদম ব্যক্তিগত সমস্যা, সংসার সমস্যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মীমাংসা না করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হচ্ছে। দেখা যায়, কেউ সান্ত্বনা দিতে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ফেলেছে। ঘুণেধরা সম্পর্কটা তখন জোড়া না লেগে বরং আরও ভেঙে যায়। তৃতীয় মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রয়োজন পড়ে কমপ্লিকেটেড সম্পর্কের ইতি টানার।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দুজন মানুষের পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালবাসার চেয়ে, একজন জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামাজিক স্ট্যাটাসকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আমাদের সমাজে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে একজন মানুষের চরিত্র বা কমপ্যাটিবিলিটি নিয়ে সচরাচর আমরা ততটা বিশ্লেষণ করতে দেখি না। বিয়ের মতো সামাজিক ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে খুব জটিল এবং স্পর্শকাতর ভাবে আমাদের সামনে হাজির করা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের সমাজে ডিভোর্সের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, ঠিক তেমনি ভাবে বিয়েতেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন মানুষ। বিভিন্ন দেশে বিয়েতে আগ্রহী করে তুলতে সরকারি ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনার ব্যবস্থা আছে। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে তাতে আমাদের দেশে দিক থেকে পিছিয়ে নেই। সরকারি বা কোন গবেষণায় হিসাব না থাকলেও এখনকার সময়ে সে সবাই কেমন যেন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে নাগরিক জীবনে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। সবার পার্সোনাল স্পেসের দরকার হচ্ছে। যেটা বিয়ে করলে আর পাওয়া যাবেনা বলে ধারণা করছে তারা। লিভটুগেদার বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে মানুষ জড়িয়ে পড়ছে সাতপাঁচ না ভেবে। আমাদের সমাজে সবার অগোচরে ভিন্ন এক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হচ্ছে। যেখানে বিয়ে এক অস্বস্তির নাম হাজার হাজার সন্তান বেড়ে উঠছে Broken Family তকমা নিয়ে। এ যে কত অস্বস্তির সে জানে, যে সন্তান বড় হয়েছে বিচ্ছিন্ন বাবা মায়ের ঘরে।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের বিবাহ বিচ্ছেদের আলোচনাটি দিয়ে শুরু করেছিলেন। দুবাইয়ের শাসক তার জীবনে অন্তত সাতটি বিয়ে করেছেন। তাদের কাছে বিয়ে ও বিচ্ছেদ ছেলেখেলা হলেও বেশির ভাগ বাঙালির কাছে গিয়ে নিছক কোনও ছেলেখেলা নয়। সমাজ যতই বদলে যাক, বাঙালির কাছে বৈবাহিক সম্পর্কটা এখনও গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদার। বিয়ে সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে কিছুটা হলেও। বিশ্লেষণী ক্ষমতা রাখতে হবে।
মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত আবেগ, অতিরিক্ত অভিমান, অতিরিক্ত রাগ এই বিশ্লেষণী ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শুধু আবেগনির্ভর সম্পর্ক, কখনো টেঁকে না। দরকার মস্তিষ্কের ব্যবহার, দরকার বুদ্ধিমত্তার আর দরকার একটি মহৎ ইচ্ছেশক্তির। সবকিছুকে একপাশে রেখে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করলে দেখা যাবে একটা সময় আর ক্ষুদ্র কারণে মান অভিমান হচ্ছে না, অনুযোগ থাকছে না। ভালোবাসা এমনই যে ঘরে ভালোবাসা থাকে সে ঘর ভাঙে না কখনওই।
Report This Post
All sources, including information, images, and videos, for our posts are listed here . If there are any copyright claims, please report this post or contact us or mail at info@beeblogquester.com.