নখ কাটলে ব্যথা লাগে না কেন?

নখ কাটলে ব্যথা লাগে না কেন?


নখ আমাদের শরীরেরই একটি অংশ। কিন্তু নখ কাটলে আমরা ব্যথা পাই না। অথচ শরীরে  কোথাও কেটে গেলে বা আঘাত লাগলে ব্যথা অনুভব করি। কেন এরকম হয়? নখ কাটলে ব্যথা লাগলে খুব বিচ্ছিরি হত, তা-ই না? কেউ তো তা হলে সহজে নথই কাটতে চাইত না। আর সেই সুযোগে নখগুলো বড় বড় হয়ে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হত। কেননা আঙুলের নথ বছরে দুই-ইঞ্চি হারে বাড়ে। ভাবো একবার!

আমাদের শরীরে সব মিলে বিশটি নখ রয়েছে। নখগুলি মৃত কোষের সমন্বয়ে গঠিত বলে এদেরকে কাটতে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না। নখের উৎপত্তি চামড়া থেকে। কেরাটিন (Keratin) নামের এক বিশেষ পদার্থ দিয়ে নখ তৈরি হয়। কেরাটিন একধরনের মৃত প্রোটিন। একেবারে আঙুলের চামড়ার ভেতরে নখের শুরু। নখের নিচের চামড়া শরীরের অন্য যে-কোনো অংশেরই চামড়ার মতো। কিন্তু এ চামড়ায় রয়েছে একপ্রকার নমনীয় তন্তু (Flexible Fibre)। এই তন্তুগুলি নখের সাথে আটকে থাকে এবং নখগুলিকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখে। সাধারণত নথ হয় খুব পুরু কিন্তু চামড়ার ভেতরে এর গোড়াটি হয় খুব পাতলা। নখের গোড়ার কাছাকাছি অংশটিও শাদা ও অর্ধবৃত্তাকার হয়। একে লুনিউল (Lunule) বলে।

cutting nail

মেয়েদের সুন্দর হাতের সাথে সাথে সুন্দর নখও অনেকের দৃষ্টি কাড়ে। সৌন্দর্য-সচেতন মেয়েরা হরেক রঙে তাদের নখগুলো রাঙিয়ে রাখে। তাই বলে নখ কেবল শরীরের শোভাবর্ধনই করে না, এ আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। নখকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে রাখতে হলে এর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। নখ কিন্তু খুব হালকা। সহজেই ভেঙে যায়। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে নখ খুঁতযুক্তও হতে পারে। পুড়ে গেলে বা কেটে গেলে সারাজীবনের জন্যে নখ নষ্ট হয়ে যায়। কেবল মানুষেরই নয়, কিছু জীবজন্তুরও নখ রয়েছে। শিম্পাঞ্জির নখ হুবহু মানুষের নখের মতোই। বাঁদরের নখও মানুষের নখের মতো। সিংহ, চিতা, বিড়াল এবং কুকুরের নখ আছে। গাভী, ষাঁড়, ঘোড়া প্রভৃতি জীবজন্তুর পায়ের খুরও একরকমের নখই।